বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ২০১৫ সাল থেকে এশিয়া প্যাসিফিক ল্যাবরেটরী এ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (APLAC) যা বর্তমানে Asia Pacific Accreditation Cooperation (APAC) নামে পরিচিত এর পূর্ণ সদস্য পদ অর্জন করেছে এবং পরীক্ষণ, ক্যালিব্রেশন, মেডিক্যাল ও ইন্সপেকশন ক্ষেত্রের জন্য পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (APAC MRA) স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে বিএবি’র এ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরী কর্তৃক ইস্যুকৃত পরীক্ষণ, ক্যালিব্রেশন, পরিদর্শন প্রতিষ্ঠানের রির্পোটের আমত্মর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাণিজ্যে কারিগরি বাধা (TBT) দূরীকরণ সহ বিশ্ব বাণিজ্যের সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
এ্যাপাক এর পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তির মাধ্যমে এক অঞ্চলে স্বীকৃত এ্যাক্রেডিটেশন প্রতিষ্ঠানের ইস্যুকৃত রির্পোট অন্য অঞ্চলের এ্যাক্রেডিটেশন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত হবে।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ২০১৫ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরী এ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন এর (ILAC) পূর্ণ সদস্য পদ অর্জন এবং পরীক্ষণ ও ক্যালিব্রেশনের জন্য পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (MRA) স্বাক্ষর করেছে।যার ফলে এ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরী কর্তৃক ইস্যুকৃত রির্পোট এর বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্যে কারিগরি বাধা দূরীকরণ সহ দ্বিতীয়বার পরীক্ষণ, সময় ও অর্থ, ইত্যাদির অপচয় রোধ করা সম্ভব হচ্ছে
এছাড়া বিএবি Asia Pacific Accreditation Cooperation (APAC) এর সার্টিফিকেশন বডি এ্যাক্রেডিটেশন স্কিমের জন্য পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে যা স্বাক্ষরিত হলে বিএবি’র এ্যাক্রেডিটেড সার্টিফিকেশন বডির সনদ আঞ্চলিকভাবে স্বীকৃতি পাবে।
ইন্টারন্যাশনাল এ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) হ’ল সার্টিফিকেশন বডির বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সর্বোচ্চ সংস্থা। বিএবি’র আইএএফ এর সদস্যপদ অর্জন প্রক্রিয়াধীন। বিএবি আইএএফ এর পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনসহ পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি স্বাক্ষর করলে বিএবি এ্যাক্রেডিটেড সার্টিফিকেশন বডির সনদ বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য হবে।
এছাড়া বিএবি বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ) স্বাক্ষরিত এ্যাক্রেডিটেশন প্রতিষ্ঠানের সাথে কৌশলগত সম্পর্কন্নোয়নের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। বিএবি’র অন্যতম লক্ষ্য হ’ল আন্তর্জাতিক এ্যাক্রেডিটেশন সংস্থাসমূহের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের মাধ্যমে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।